জরুরী অবস্থা - Emergency
🔷 জরুরী অবস্থা সম্পর্কে সংক্ষিপ্ত অলোচনা 🔷
-: জরুরী অবস্থা : -
রাষ্ট্রপতি হলেন ভারতবর্ষের সর্বোচ্চ শাসক । ভারতে বিভিন্ন ধর্ম , ভাষা , জাতির মানুষ বসবাস করেন ।
এর ফলে ভারতে যাতে বিচ্ছিন্নতাবাদ বা আঞ্চলিকতার জন্ম না হয় , এবং বহিঃশত্রুর আক্রমণ থেকে ভারত কে রক্ষা করা যায় , তার জন্য তিন ধরনের জরুরী অবস্থা জারি করার ক্ষমতা দেওয়া হয়েছে ।
১) জাতীয় জরুরী অবস্থা
২) শাসনতান্ত্রিক জরুরী অবস্থা
৩) অর্থিক জরুরী অবস্থা
◆ জাতীয় জরুরী অবস্থা : (352 নং ধারা) : - সংবিধানের 352 নং ধারায় বলা হয়েছে তে , রাষ্ট্রপতি যদি মনে করেন বহিঃশত্রুর আক্রমণ , যুদ্ধ সশস্ত্র অভ্যুথানের জন্য দেশের নিরাপত্তা ক্ষুণ্ন হয়েছে কিংবা গুরুতর অবস্থার সৃষ্টি হয়েছে তাহলে তিনি সমগ্র দেশের জন্য অথবা ভারতের নির্দিষ্ট অংশের জন্যে জরুরী অবস্থা জারি করতে পারেন ।
প্রসঙ্গত উল্লেখ্য : মূল সংবিধানে বলা হয়েছিলো রাষ্ট্রপতি যদি ৩৫২ নং ধারা জারি করেন তাহলে তা সমগ্র ভারতবর্ষের জন্য কর্যকর হবে । 44 তম সংবিধান সংশোধন করে বলা হয়েছে যে , রাষ্ট্রপতি জরুরী অবস্থা জারি করার আগে ক্যাবিনেটের সঙ্গে পরামর্শ করতে বাধ্য থাকবেন । এবং এই সংশোধন এ আরো বলা হয়েছে যে , রাষ্ট্রপতি জরুরী অবস্থা সমগ্র ভারতে অথবা ভারতের কোনো নির্দিষ্ট অংশে কার্যকর করতে পারবে ।
রাষ্ট্রপতি 352 নং ধারা ঘোষণা করলে তা এক মাসের মধ্যে পার্লামেন্টের অনুমোদন প্রয়োজন হয় । পার্লামেন্ট অনুমোদন করলে তা 6 মাস পর্যন্ত কার্যকরী থাকবে ।
* আজ পর্যন্ত ভারতে তিনবার জরুরী অবস্থা ঘোষণা করা হয়েছে - যথা 1962 , 1971 ,1977
44 তম সংবিধান সংশোধনে বলা হয়েছে যে শাসনতান্ত্রিক অচলাবস্থা জারির ক্ষেত্রে রাষ্ট্রপতির সন্তুষ্টিই শেষ কথা নয় , এ বিষয়ে আদালতে বিচার করা যাবে । শাসনতান্ত্রিক অচলাবস্থা জারি করার পর এই ঘোষণা টি দু মাসের মধ্যে পার্লামেন্টের উভয় কক্ষে অনুমোদন করতে হবে । এই প্রস্তাব পার্লামেন্ট অনুমোদন না করলে তা ৬ মাস পরে বাতিল হয়ে যায় । পার্লামেন্ট অনুমোদন করলে এই ঘোষণা ৬ মাস পর্যন্ত কার্যকর থাকে ।
এক্ষেত্রে উল্লেখ করা যায় নির্বাচন কমিশন যদি মনে করে সংস্লিষ্ট রাজ্যে নির্বাচন করার উপযুক্ত পরিবেশ নেই তাহলে ৬ মাস অন্তর সর্বাধিক তিন বছর পর্যন্ত ঘোষণা কার্যকর থাকতে পারে ।
জরুরী অবস্থা জারির সময় যদি লোকসভার অধিবেশন বন্ধ থাকে , তাহলে রাষ্ট্রপতি পার্লামেন্টের অনুমোদন সাপেক্ষে সংস্লিষ্ট রাজ্যের ব্যয়ের জন্য সঞ্চিত তহবিল থেকে অর্থব্যয়ের অনুমতি দিতে পারে ।
তবে এই সময় রাষ্ট্রপতি সংস্লিষ্ট রাজ্যের হাইকোর্টের ক্ষমতার পরিবর্তন করতে পারে না ।
-: জরুরী অবস্থা : -
রাষ্ট্রপতি হলেন ভারতবর্ষের সর্বোচ্চ শাসক । ভারতে বিভিন্ন ধর্ম , ভাষা , জাতির মানুষ বসবাস করেন ।
এর ফলে ভারতে যাতে বিচ্ছিন্নতাবাদ বা আঞ্চলিকতার জন্ম না হয় , এবং বহিঃশত্রুর আক্রমণ থেকে ভারত কে রক্ষা করা যায় , তার জন্য তিন ধরনের জরুরী অবস্থা জারি করার ক্ষমতা দেওয়া হয়েছে ।
১) জাতীয় জরুরী অবস্থা
২) শাসনতান্ত্রিক জরুরী অবস্থা
৩) অর্থিক জরুরী অবস্থা
◆ জাতীয় জরুরী অবস্থা : (352 নং ধারা) : - সংবিধানের 352 নং ধারায় বলা হয়েছে তে , রাষ্ট্রপতি যদি মনে করেন বহিঃশত্রুর আক্রমণ , যুদ্ধ সশস্ত্র অভ্যুথানের জন্য দেশের নিরাপত্তা ক্ষুণ্ন হয়েছে কিংবা গুরুতর অবস্থার সৃষ্টি হয়েছে তাহলে তিনি সমগ্র দেশের জন্য অথবা ভারতের নির্দিষ্ট অংশের জন্যে জরুরী অবস্থা জারি করতে পারেন ।
প্রসঙ্গত উল্লেখ্য : মূল সংবিধানে বলা হয়েছিলো রাষ্ট্রপতি যদি ৩৫২ নং ধারা জারি করেন তাহলে তা সমগ্র ভারতবর্ষের জন্য কর্যকর হবে । 44 তম সংবিধান সংশোধন করে বলা হয়েছে যে , রাষ্ট্রপতি জরুরী অবস্থা জারি করার আগে ক্যাবিনেটের সঙ্গে পরামর্শ করতে বাধ্য থাকবেন । এবং এই সংশোধন এ আরো বলা হয়েছে যে , রাষ্ট্রপতি জরুরী অবস্থা সমগ্র ভারতে অথবা ভারতের কোনো নির্দিষ্ট অংশে কার্যকর করতে পারবে ।
রাষ্ট্রপতি 352 নং ধারা ঘোষণা করলে তা এক মাসের মধ্যে পার্লামেন্টের অনুমোদন প্রয়োজন হয় । পার্লামেন্ট অনুমোদন করলে তা 6 মাস পর্যন্ত কার্যকরী থাকবে ।
* আজ পর্যন্ত ভারতে তিনবার জরুরী অবস্থা ঘোষণা করা হয়েছে - যথা 1962 , 1971 ,1977
◆ রাজ্যে শাসনতান্ত্রিক অচলাবস্থা সংক্রান্ত জরুরী অবস্থা : (365 নং ধারা ) : - ভারতের কোনো অঙ্গরাজ্যে রাষ্ট্রপতি সংবিধান অনুসারে 356 নং ধারা জারি করতে পারেন । এই 356 নং ধারা জারি কে রাষ্ট্রপতির শাসন সংক্রান্ত অচলাবস্থা সংক্রান্ত জরুরী অবস্থা বলা হয় । কোনো অঙ্গরাজ্যের রাজ্যপাল যদি মনে করেন সেই রাজ্যে সংবিধান অনুসারে শাসনকার্য পরিচালনা হচ্ছে না বা সম্ভব নয় , তখন তিনি এই মর্মে রাষ্ট্রপতির কাছে লিখিত সুপারিশ পেশ করতে পারেন , এবং রাষ্ট্রপতি রাজ্যপালের সুপারিশ এর ভিত্তিতে সন্তুষ্ট হলে সংস্লিষ্ট রাজ্যে রাষ্ট্রপতি শাসনতান্ত্রিক অচলাবস্থা জারি করতে পারেন ।
44 তম সংবিধান সংশোধনে বলা হয়েছে যে শাসনতান্ত্রিক অচলাবস্থা জারির ক্ষেত্রে রাষ্ট্রপতির সন্তুষ্টিই শেষ কথা নয় , এ বিষয়ে আদালতে বিচার করা যাবে । শাসনতান্ত্রিক অচলাবস্থা জারি করার পর এই ঘোষণা টি দু মাসের মধ্যে পার্লামেন্টের উভয় কক্ষে অনুমোদন করতে হবে । এই প্রস্তাব পার্লামেন্ট অনুমোদন না করলে তা ৬ মাস পরে বাতিল হয়ে যায় । পার্লামেন্ট অনুমোদন করলে এই ঘোষণা ৬ মাস পর্যন্ত কার্যকর থাকে ।
এক্ষেত্রে উল্লেখ করা যায় নির্বাচন কমিশন যদি মনে করে সংস্লিষ্ট রাজ্যে নির্বাচন করার উপযুক্ত পরিবেশ নেই তাহলে ৬ মাস অন্তর সর্বাধিক তিন বছর পর্যন্ত ঘোষণা কার্যকর থাকতে পারে ।
জরুরী অবস্থা জারির সময় যদি লোকসভার অধিবেশন বন্ধ থাকে , তাহলে রাষ্ট্রপতি পার্লামেন্টের অনুমোদন সাপেক্ষে সংস্লিষ্ট রাজ্যের ব্যয়ের জন্য সঞ্চিত তহবিল থেকে অর্থব্যয়ের অনুমতি দিতে পারে ।
তবে এই সময় রাষ্ট্রপতি সংস্লিষ্ট রাজ্যের হাইকোর্টের ক্ষমতার পরিবর্তন করতে পারে না ।
◆ আর্থিক জরুরী অবস্থার ঘোষণা : ( ৩৬০ নং ধারা ) :- সংবিধানের ৩৬০ নং ধারা অনুসারে রাষ্ট্রপতি আর্থিক জরুরী অবস্থা জারি করতে পারেন । এই ধারা অনুসারে তিনি যদি মনে করেন বা সন্তুষ্ট হন যে ভারতের কোনো অংশে বা সমগ্র অংশে আর্থিক স্থায়িত্ব বা সুনাম নষ্ট হতে চলেছে বা আশঙ্কা দেখা দিয়েছে তাহলে তিনি আর্থিক জরুরী অবস্থা জারি করতে পারেন ।
রাষ্ট্রপতি আর্থিক জরুরী অবস্থা ঘোষণার ৬ মাসের মধ্যেই পার্লামেন্টের উভয় কক্ষের অনুমোদন হওয়া প্রয়োজন । ৬ মাসের মধ্যে অনুমোদন না হলে তা বাতিল হয়ে যায় । পার্লামেন্টের দ্বারা অনুমোদিত হওয়ার পর অনির্দিষ্টকালের জন্য কার্যকরী হতে পারে । আবার রাষ্ট্রপতি নির্দেশ জারি করে জরুরী অবস্থা প্রত্যাহার করে নিতে পারেন ।
আর্থিক জরুরী অবস্থা ঘোষিত হলে কেন্দ্রীয় সরকার অর্থনৈতিক বিষয়ে রাজ্যসরকার কে নির্দেশ দিতে পারে ।
Good
ReplyDeletegood
ReplyDeleteআর্থিক জরুরি অবস্থা কত সালে হয়েছিল?
ReplyDeleteBaccarat, Pai Gow Poker & More - Wahlberg & Company
ReplyDeleteLearn more about 카지노사이트 Baccarat and the Baccarat game - Learn worrione more about Baccarat - Baccarat - Baccarat - Baccarat - Baccarat - Baccarat - Baccarat 메리트 카지노 쿠폰 - Baccarat - Baccarat - B